26 C
Dhaka

এবারের ঈদুল আজহায় ছুটি ৪ দিন

প্রকাশিত:

সাপ্তাহিক একদিন আর ঈদের তিনদিন মিলিয়ে এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের চার দিন ছুটি মিলছে।

আরবি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১ জুলাই (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) থেকে জিলহজ মাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ধর্মীয় হিসাব অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে থাকে। সে হিসাবে আগামী ১০ জুলাই সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, ৯ থেকে ১১ জুলাই (শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত) তিনদিন সরকারি ছুটি। এর আগের দিন (৮ জুলাই-শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে চারদিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বছরে দুটি ঈদ- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। জিলহজ মাসে মুসলমানেরা পবিত্র মক্কায় হজ করতে যান। জিলহজ মাসের ৮-১০ তারিখে হজ অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়।

ঈদুল আজহায় যা বর্জনীয় : ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের বিশেষ দিন মনে করে জিয়ারত করা বিদআত। তবে পূর্বনির্ধারিত রুটিন ছাড়া হঠাৎ সুযোগ হয়ে গেলে একাকী কেউ জিয়ারত করলে দূষণীয় নয়।

অনেকে ঈদের আনন্দে মশগুল হয়ে নতুন জামাকাপড় পরিধান, সেমাই, ফিরনি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঈদের সালাত আদায় করার কথা ভুলে যায়। অথচ এই দিনে ঈদের সালাত ও কোরবানি করাই হচ্ছে মুসলমানদের মূল কাজ। ঈদগাহে বা ঈদের দিন সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহা ও মুআনাকা করতেই হবে এমন বিশ্বাস ও আমল করা বিদআত। তবে এমন বিশ্বাস না করে সালাম ও মুসাফাহার পর মুআনাকা (গলায় গলা মেলানো) করায় কোনো অসুবিধা নেই। কারণ মুসাফাহা ও মুআনাকা করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়। কোরবানির গোশত, চামড়া ও এর কোনো অংশ বিক্রি করা যাবে না। অর্থাৎ বিক্রি করে নিজে উপকৃত হওয়া যাবে না। এমনকি কসাইকে পারিশ্রমিকস্বরূপ গোশত দেওয়া নিষিদ্ধ (বুখারি, হাদিস : ১৭১৭, মুসলিম, হাদিস : ১৩১৭)। তবে সাধারণভাবে কাউকে খেতে দেওয়ায় অসুবিধা নেই।

ঈদের দিন উপলক্ষে যেখানে গান-বাজনা, অবাধে নারী-পুরুষ বিচরণ ইত্যাদির আয়োজন থাকে—এমন মেলা আয়োজন করা, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম।

সম্পর্কিত সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

spot_img