টুইটার থেকে আত্মহত্যাপ্রতিরোধী হটলাইন সেবা বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মাইক্রোব্লগিং সাইটটির সত্ত্বাধিকারী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
হ্যাশট্যাগ দেওয়ারইজহেল্প (#ThereIsHelp) নামে পরিচিত হটলাইন সেবাটি পাঁচ বছর আগে চালু করে টুইটার। এ সেবা চালু থাকায় ব্যবহারকারীরা মানসিক স্বাস্থ্য, এইচআইভি, টিকা, শিশু নির্যাতন, কোভিড-১৯, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সার্চ করলে এসব বিষয় নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও সংস্থাগুলোর নাম আগেভাগে দেখানো হতো। এ সেবা বন্ধের ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও সামগ্রিক জীবনে বিপদগ্রস্ত ব্যবহারকারীরা বেকায়দায় পড়বেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাস্ক বলেছেন, ‘অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর ইম্প্রেশন বা ভিউ হ্রাস পাচ্ছে এবং গ্রাফগুলিকে একটি নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে। এমনকি গবেষকরা ও নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলি জাতিগত অপবাদ এবং অন্যান্য ঘৃণ্য বিষয়বস্তুসহ টুইটগুলির বৃদ্ধির ট্র্যাক করেছে।’
মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ওয়াশিংটনভিত্তিক এইডস ইউনাইটেড এবং থাইল্যান্ডভিত্তিক আইল’ টুইটারের এ ফিচার বন্ধের সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে।
টুইটারের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি প্রধান এলা আরউইন বলেছেন, ‘গুগল তাদের অনুসন্ধান ফলাফলে এইগুলি সত্যিই ভালো করে ভূমিকা রাখে। আমরা যে পরিবর্তনগুলি করছি তার সঙ্গে তাদের কিছু পদ্ধতির প্রতিফলন করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে এই প্রম্পটগুলি অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকর এবং শুধু নিশ্চিত করতে চাই যে তারা সঠিকভাবে কাজ করছে এবং প্রাসঙ্গিক হতে চলেছে।’
এরলিয়ানি আবদুল রহমান, যিনি সম্প্রতি টুইটার বিষয়বস্তু উপদেষ্টা গ্রুপে ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘#ThereIsHelp-এর অন্তর্ধান অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং গভীরভাবে বিরক্তিকর।’
টেসলা ও স্পেসএক্সের সত্ত্বাধিকারী আলোচিত মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকেই নানা কারণে আলোচনায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতেই সিইওসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন তিনি। পরে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই। এমনকি এক পর্যায়ে অনেকে স্বেচ্ছায় টুইটারের চাকরি ছেড়ে দিতে শুরু করেন। এখন পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে পরিচালন ও ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট নীতিমালায়ও একের পর এক পরিবর্তন এনে চলেছেন ইলন মাস্ক।