নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী পৌরসভা এলাকা থেকে দুর্নীতির মামলায় সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখককে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আটককৃত দলিল লেখকের নাম মো. জামাল উদ্দিন। তিনি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলাধীন উত্তর ওয়াপদা বাজার সংলগ্ন পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে। সম্প্রতি নোয়াখালী পৌরসভা এলাকার কেজি স্কুলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ।
এর আগে নোয়াখালী সদর রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. জামাল উদ্দিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা ব্যাংকের সোনাপুর শাখার ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, স্থানান্তর ও হস্তান্তরের পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে চলতি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার আসামি করা হয় মো. শাহজাহান, মো. শরিফ উল্লাহ, সেকান্দার মিয়া ও সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. জামাল উদ্দিনকে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়ারহাট বাজারের মেসার্স জননী ট্রেডার্সের মালিক শাহজাহান আব্দুল্লাহ সয়াবিন, বাদাম, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের ভূসিমালের পাইকারি ব্যবসা করতেন। আট বছর আগে ২০১৪ সালে শাহজাহান আব্দুল্লাহ তার ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য উত্তরা ব্যাংকের সোনাপুর শাখা থেকে ৫৫ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা নেয়ার জন্য শাখা ব্যবস্থাপক বরাবর আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোনাপুর শাখা থেকে ওই ঋণের প্রস্তাব উত্তরা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে ৪৭.৩৫ শতাংশ জমি বন্ধকের বিনিময়ে ৫০ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালের ফের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আরও ৯.৬৫ শতাংশ আবাসিক জমির ওপর নির্মিত একতলা বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণসীমা ৭০ লাখ টাকা বৃদ্ধির আবেদন করেন শাহজাহান আব্দুল্লাহ।
উত্তরা ব্যাংক সোনাপুর শাখা অনুমোদন পাওয়ার পর নতুন ৯.৬৫ শতাংশ আবাসিক জমিসহ মোট ৫৭ শতাংশ জমি সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, নোয়াখালীর বন্ধকী দলিল মূলে সম্পাদন করা হয়। ওই ৯.৬৫ শতাংশ জমি সেকান্দর মিয়ার কাছ থেকে সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মাধ্যমে ক্রয় করে একতলা বাড়ি তৈরি করেন শাহজাহান। উল্লেখ্য, সেকান্দর মিয়া শাহজাহানের স্ত্রীর বড় বোনের স্বামী।