সারাদেশের মতো পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন রকমের গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি।
পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রের দুটি বুথে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিল।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত-২ (৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড) এর নির্বাচন সোমবার, ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
৫ নং ওয়ার্ড সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ১৪৬টি ভোটের মধ্যে ১৪৪ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন।
জেলা পরিষদ ভোটকে কেন্দ্র করে দিনভর উপজেলা সদরে প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। এ কেন্দ্রে আসাদুল ইসলাম আলতাব বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৫১ ভোট পেয়ে সাধারণ সদস্য পদে জয়লাভ করেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামছুল হক স্বপন প্রামানিক টিউবয়েল প্রতীকে ৪৮ ভোট পান। অপর দিকে সংরক্ষিত-২ নং ওয়ার্ড (সাঁথিয়া বেড়া ও সুজানগর উপজেলা) থেকে ফুটবল প্রতীকে ২৬৮ ভোট পেয়ে আনোয়ারা আহম্মেদ জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুন্নাহার টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ১৫৩ ভোট পান।
পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে (সার্বিক) নির্বাচিতরা হলেন- পাবনা সদরে নজরুল ইসলাম সোহেল, আটঘরিয়ায় কামরুজ্জামান টুটুল, ঈশ্বরদীতে তফিকুজ্জামান রতন, সুজানগরে ফররুখ কবির বাবু, বেড়ায় মাসুদ রানা ময়ছার, সাঁথিয়ায় আসাদুল ইসলাম আলতাব, ফরিদপুরে আব্দুল জলিল, চাটমোহরে সাইদুল ইসলাম পলাশ ও ভাঙ্গুড়ায় আসলাম আলী।
এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আইরিন কিবরিয়া, আনোয়ারা আহমেদ ও আঁখি খাতুন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯টি উপজেলার ভোটারদের ভোটে একজন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামীগ নেতা কামিল হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আওয়ামীগ নেতা আ শ ম আব্দুর রহিম পাকন আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।