আপনি যখন নিজেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশার জন্য উপযুক্ত করে তুলেছেন অর্থাৎ আপনি প্রস্তুত ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য তখন আপনাকে কাজ পাওয়ার স্থানে এপ্লাই করতে হবে। যেমন আমরা আমাদের পড়ালেখার পাট চুকিয়ে চাকুরীর জন্য বিভিন্ন জায়গায় এপ্লাই করি তেমনি ফ্রিল্যান্সিংর জন্য কিছু কাজ করতে হয়। তবে এখানে একটু অন্যরকম।
যদি আপনি এই লেখার পাঠক আজই প্রথম হয়ে থাকেন তাহলে আগের দুই পর্বগুলোতে একটু চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সারা যেখানে কাজ করেন এবং ক্লায়েন্টরা যেখানে কাজের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন সেই স্থানকে মার্কেটপ্লেস বলা হয়। অনলাইনে এমন অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেখান থেকে ফ্রিল্যান্সারা তাদের কাজ খুঁজে পায়। আর ক্লায়েন্টরা তাদের উপযুক্ত ব্যক্তি দ্বারা কাজ করিয়ে নেয়। এই মার্কেটপ্লেসগুলো ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে একটা সেতু হিসেবে কাজ করে থাকে।
এই মার্কেটপ্লেসগুলো বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। কোন কোন মার্কেটপ্লেস বিশেষ কোন ক্যাটাগরি যেমন ধরুন ওয়েব ডিজাইন কিংবা গ্রাফিক ডিজাইন কিংবা রাইটিং এমন স্পেশাল ক্যাটাগরির জন্য হয়ে থাকে। আবার কিছু মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে সব ধরণের কাজ পাওয়া যায়।
কাজের ধরনের উপরও বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেমন মাইক্রোসাইট মার্কেটপ্লেস, ছোট বাজেটের মার্কেটপ্লেস, বড় বাজেটের মার্কেটপ্লেস।
মাইক্রোসাইট মার্কেটপ্লেসের কাজগুলো করা অনেক সহজ। প্রতিটি কাজ কিভাবে করতে হবে তা কাজেই বর্ণনা করা থাকে। যে কেউ চাইলেই এই ধরণের কাজগুলো করতে পারেন। এর জন্য তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। কাজের বর্ণনা পড়ে বোঝার ক্ষমতা থাকলেই হলো। এখানে একাউন্ট করাও অনেক সহজ।
তবে যেহেতু এইগুলো মাইক্রোসাইট তাই কাজ যেমন সহজ ও ছোট, এর মূল্য অনেক কম। সাধারণত ৫ সেন্ট থেকে কাজ শুরু হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ ৩/৫ ডলার পর্যন্ত হয়। সারা দিনে যে যত খুশি তত কাজ করতে পারে। প্রতিটা কাজ নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যন্ত থাকে। অর্থাৎ যদি একটা কাজের সংখ্যা ৫০ দেওয়া থাকে সেটা ৫০ পূরন হওয়ার সাথে সাথে কাজটা মার্কেটপ্লেস থেকে চলে যায়। তাই দেখা যায় প্রতি ঘণ্টায় নতুন নতুন কাজ আসতে থাকে।
ছোট বাজেটের মার্কেটপ্লেস বলতে প্রতিটি কাজের জন্য সর্বনিম্ন একটা রেট দেওয়া থাকে। হতে পারে সেটা ৫ ডলার কিংবা ১০ ডলার। অর্থাৎ কমপক্ষে ৫ ডলার দিয়ে কাজ শুরু হয়। তবে তারমানে এই নয় যে সেইসব মার্কেটপ্লেসে শুধু এই বাজেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এখানেও আনলিমিটেড আয়ের সুযোগ আছে। সেইরকম জনপ্রিয় একটা মার্কেটপ্লেস হলো ফাইভার।
এইসব মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট করার কিছু বিশেষ নিয়ম আছে। সেগুলো ফলো করে একউন্ট করা জরুরী। তা না হলে দেখা যাবে আপনার কিছু ভুল বা অজানার জন্য আপনার প্রোফাইল ঠিকমত রিচ করছে না এবং আপনি কাজ পাচ্ছেন না। ফাইভার একাউন্ট করার নিয়মগুলো জেনে প্রোফাইল বানালে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বড় বাজেটের মার্কেটপ্লেসে সাধারনত বড় বড় কাজের জন্য। যারা একেবারে নতুন তাদের প্রথমেই এই মার্কেটপ্লেসে কাজ না করে ছোট ছোট মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করা উচিত। আর যারা নিজের কাজের স্কিল নিয়ে কনফিডেন্ট শুধু জানতেন না কোথায় কাজে লাগাবেন তারা চাইলেই প্রথমেই বড় ধরণের মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট তৈরী করতে পারেন।
জনপ্রিয় তেমনি একটি সাইট হলো আপওয়ার্ক। এখানে প্রোফাইল তৈরির কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস আছে যা জেনে নিলে আপনার জন্যই মঙ্গল।
আজ এই পর্যন্ত। আরো অনেক তথ্য নিয়ে আগামী পর্ব দেখা হচ্ছে।
*হ্যাপী ফ্রিল্যান্সিং