বরিশাল-পটুয়াখালী ও বাকেরগঞ্জ-বরগুনা মহাসড়কে চাঁদাবাজি থামছেই না। খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের যানবাহন আটকে বিভিন্ন কায়দায় টাকা আদায় করা হচ্ছে।
আগে এলাকাভিত্তিক রাজনৈতিক নেতা বা সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ কখনো সরাসরি আবার কখনো নেপথ্যে থেকে সোর্সদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করছে। মহাসড়কে পেশাদার ডাকাত, সড়ক দুর্ঘটনা, ছিনতাইকারীর তৎপরতায় সাধারণ মানুষ এমনিতেই আতঙ্কগ্রস্ত। তার ওপর যুক্ত হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি। মহাসড়কে নিরাপত্তা দেয়ার কথা যাদের সেই রক্ষকই যেন এখন ভক্ষক! বরিশাল-পটুয়াখালী ও বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের ভেতর যেন এমন অভিযোগের পাহাড়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সারা বছরই মহাসড়কে চাঁদা তোলেন এক শ্রেণির অসাধু ট্রাফিক পুলিশ। পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির প্রভাব পড়ে নিত্যপণ্যের বাজারে, বেড়ে যায় পণ্যের দাম। দিনশেষে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ ক্রেতা। পুরো দক্ষিণাঞ্চলের পণ্য পরিবহনের জন্য কয়েক হাজার ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান নিয়মিত চলাচল করে। এসব ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যান থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়।
শুধু পণ্য পরিবহনের ট্রাক নয়, যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা, মাহিন্দ্রা, অটোরিকশা, নসিমনসহ অন্যান্য পরিবহন থেকেও নিয়মিত তোলা হয় চাঁদা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাসিক চুক্তিতে এসব চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া বিভিন্ন স্পটে যানবাহন আটকিয়েও বিভিন্ন অজুহাতে গাড়ির চালক, সহকারী এবং যাত্রীদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করা হচ্ছে। নিয়মিত ও চাহিদামতো টাকা না পেলে নানাভাবে হয়রানি ও মামলার ঘটনা ঘটছে।