29 C
Dhaka

বাঞ্ছারামপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নয়ন মারা গেছেন

প্রকাশিত:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নয়ন মিয়া (২২) নামে এক ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ির সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ নয়ন মিয়া উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি।

এডিশনাল এসপি মোল্লা মো. শাহীন বলেন, নয়ন ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মারা গেছেন। তবে কার গুলিতে মারা গেছেন তা বলা যাচ্ছে না।

উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির মহাসমাবেশকে সফল করতে শনিবার বিকেলে সাড়ে তিনটার সময় বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরে প্রচারপত্র বিলি করেন।

প্রচারপত্র বিলিশেষে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা ভিপি সায়েদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের মোল্লা বাড়ি থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সদরের বাজার, বাঞ্ছারামপুর থানা ও উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘুরে পুনরায় মোল্লা বাড়ির মসজিদের সামনে গিয়ে জড়ো হয়।

সেখানে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলমের নেতৃত্বে পুলিশ জড়ো হন। পুলিশ সে সময় সায়েদুজ্জামানকে আটক করতে যায়। এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি ও পরে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোঁড়ে। এ সময় নয়ন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির দুই কর্মী রফিকুল ইসলাম-(৪২) ও সাইদুর রহমানকে-(২৫) গ্রেপ্তার করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম-(৪১), পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্দি দে-(৩২), উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন-(৩০) ও বিকিরণ চাকমা-(৩২), কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম-(৩৩) ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস- (২৬)।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, বিকেলে বিএনপির একশ থেকে দেড়শ নেতাকর্মী আকস্মিক মিছিল নিয়ে থানার সামনে জড়ো হয়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। সেখানে থাকা টহল দলের দুই কনস্টেবলের কাছ থেকে তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় কনস্টেবল এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আমিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের (বিএনপির) এক কর্মীও আহত হয়েছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

spot_img