জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যার পানি পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চলছে ব্রক্ষ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে জেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের নয়াপাড়া, গোয়ালের চর ইউনিয়নের মোহাম্মপুর গ্রাম বসতভিটা ও ফসলী জমি ও রাস্তাঘাট। ভাঙ্গন কবলিতরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙ্গন রোধে জরুরী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থার নেওয়ার দাবী এলাকাবাসীর।
জানা যায়, জামালপুর জেলার যমুনা ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদ-নদী বিধৌত এলাকার নাম ইসলামপুর উপজেলা। প্রতিবছর বন্যায় নদী ভাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় এই উপজেলায়। চলতি বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি বাড়তে শুরু করায় জামালপুরের ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার ব্রক্ষ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ী, ফসলী জমি, রাস্তাঘাটসহ বহুস্থাপনা। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতন জীবন যাপন করছে।
গত কয়েক দিনে অব্যাহত ভাঙ্গণে পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাজাবাদ নয়াপাড়া ৮টি পরিবারের বসত ভিটা নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় পলবান্ধা সিরাজাবাদ নয়া পাড়া ফসলী জমি, রাস্তা-ঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু গুরুত্ব পূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। অসহায় ভাঙ্গন কবলিত মানুষ প্রশাসনের নিকট ভাঙ্গন রোধে আবেদন দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।

গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকা ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী বাশঁ পাইলিং দিলেও বন্যার পানি ঘূর্ণমান স্রোতে বাশেঁর পাইলিং নদী গর্ভে বিলিন হয়ে বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে। ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ী,ফসলী জমি, রাস্তাঘাট,বিদ্যুতের খুটিসহবহুস্থাপনা। ফলে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য এমপি,মন্ত্রীসহ প্রশাসনের নিকট জোরদাবী দাবী জানিয়েছেন।
ব্রক্ষ্মপুত্র নদী ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাসহ ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় এমপি, মন্ত্রীসহ প্রশাসনের নিকট জরুরী ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন পলবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কমল ও গোয়ালেরচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা।
প্রশাসন জরুরী ভিত্তিতে ব্রক্ষ্মপুত্র নদী ভাঙ্গন রোধসহ ভাঙ্গনের ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসবেন এটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর ।