ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে ৬ বছর বয়সী শিশু মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মঞ্জুকে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৩ নম্বর এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। র্যাব জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি প্রতারণা ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ দমন করে ভুক্তভোগী নিরীহ জনসাধারণের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে র্যাব।
ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় ভিকটিম (৬) তার মা-বাবার সাথে বসবাস করত। ভিকটিমের মা-বাবা তাকে লেখাপড়া করার জন্য স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসায় কেজি শ্রেনীতে ভর্তি করেন। গত ১৬/০৭/২০২২ তারিখ সকাল ০৮:০০ ঘটিকায় প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিমের মা ভিকটিমকে পড়াশুনা করার জন্য মাদ্রাসায় দিয়ে বাসায় চলে আসেন।
একই দিন সকাল ১০:১৫ ঘটিকায় ভিকটিমের মা তার মেয়ে (ভিকটিম) কে টিফিন খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে মাদ্রাসায় গেলে দেখতে পান ক্লাসের শিক্ষিকা ও সকল ছাত্রী টিফিনের জন্য যে যার বাসায় চলে গেছে এবং তার মেয়েও ক্লাসে নেই। ভিকটিমের মা তার মেয়েকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ভিকটিমের চিৎকার শুনে মাদ্রাসার কেবিনের সামনে গিয়ে দেখতে পান উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষিকার স্বামী মোঃ আবদুল মঞ্জু (৪০) ভিকটিমকে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করছে।
ভিকটিমের মাকে দেখে মঞ্জু ভিকটিমকে ছেড়ে দিয়ে ভিকটিমের মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে অসুস্থাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অতঃপর ভিকটিমের মা উক্ত ঘটনায় তার স্বামীসহ আত্মীয়-স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় মোঃ আবদুল মঞ্জুর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৮/৩৪৫, তারিখ ১৭/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (১) ধারা।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ২৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৩ সি-ব্লক এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে রুজুকৃত মামলার পলাতক আসামী মোঃ আবদুল মঞ্জুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তার নিকট হতে ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।