রাজধানীর বংশাল ও কোতয়ালী এলাকায় অনুমোদনহীন অবৈধ ওষুধ মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ২১ ফার্মেসিকে সর্বমোট ৩১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১০ জানায়, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একদিনে টানা প্রায় ১২ ঘন্টা অভিযান চালায় র্যাব। এসময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম এবং ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে গঠিত একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার বংশাল ও কোতয়ালী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বংশাল ও কোতয়ালী এলাকায় অবস্থিত মোট ২১টি প্রতিষ্ঠানকে সবমিলিয়ে ৩১,৮৪,০০০/- (একত্রিশ লক্ষ চুরাশি হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
অনুমোদনহীন অবৈধ ওষুধ মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে যেসব ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে সেগুলো হলো : সোহাদেব মেডিকেল হলকে নগদ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, আর এস ড্রাগকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, অনিক ড্রাগসকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, রাসেল মেডিসিনকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, রাইহান মেডিসিনকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, রাজ ফার্মাকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, সোহাগ ড্রাগসকে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, বিসমিল্লাহ ড্রাগসকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, নুরজাহান মেডিসিন কর্নারকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, জুনায়েদ মেডিকেল হলকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, তৈয়বা ড্রাগ হাউজকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, সোহাগ ড্রাগ হাউজকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, মনির ট্রেডার্সকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, মুরাদ মেডিসিন কর্নারকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, মা-বাবার দোয়া ড্রাগ হাউজকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, বিসমিল্লাহ ড্রাগ হাউজকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, সুমাইয়া মেডিকেল হলকে নগদ ২,০৪,০০০/- (দুই লক্ষ চার হাজার) টাকা, জনসেবা মেডিকেলকে নগদ ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, নিয়ামত ফার্মেসীকে নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, নোয়াব মেডিকেল স্টোরকে নগদ ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা এবং আল-মালিক সার্জিক্যালকে নগদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠানের অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন অবৈধ ঔষধ মজুদ ও বিক্রি করে আসছিল।
