ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তালেব (৪৯) কে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের বন্দর চৌরাস্তায় দোকান মালিক ও শ্রমীকদের সাথে ফুটপাত পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনায় আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, পৌরশহরের ভাই ভাই হার্ডওয়্যার দোকানের স্বত্বাধিকারী বিক্রম পাল পৌর কাউন্সিলর আবু তালেব এর বিরুদ্ধে উশৃঙ্খলতার অভিযোগ এনে বলেন, ‘দোকনের সামনে থাকা মালামাল পা দিয়ে লাথি মেরে ভেঙ্গে দেন এ কাউন্সিলর। ওই কাউন্সিলরের সাথে থাকা লোকজন পৌরসভার কোন নোটিশ ছাড়ায় পৌরসভার দোকানপাট পরিচ্ছন্ন রাখতে চেচামেচি করেন। দোকানের বাইরে রাখা মালপত্রে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকে এমন কি জিনিস পত্র উল্টো পাল্টা করে ছুড়ে ফেলেন বলে জানান।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আক্ষেপ করে বলেন, একজন কাউন্সিলরের উশৃঙ্খলা আচরণ আমাদের ব্যবসায়ীদের মর্মাহত করেছে । যা একজন জনপ্রতিনিধির কাছে কাম্য নয়।
এ সময় বসাক বস্ত্রালয়ের মালিকের ছেলে মিন্টু বসাক, বিক্রম পালের ছেলে রন্টি পাল, সুমন বসাককে আঘাত করার অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা ।

এ সময় পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের সামনেই এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
গুরুত্বর আহত হওয়া পৌর কাউন্সিলর আবু তালেব হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্ষেপ করে বলেন, ‘ আমার কিচ্ছু বলার নাই, ‘ হয়ত অপরাধ করছি, অপরাধের সাজা পাইছি!’
এদিকে পৌর কাউন্সিলর আবু তালেবকে স্থানীয় রানীশংকৈল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহা আলম বলেন, ‘ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আজকের এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পেলে এই এলাকার ব্যবসায়ীরা আমরা বৃহত্তম পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

রানীশংকৈল পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান ‘কালের কন্ঠ’কে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা । আমি একটি ফোন পেয়ে সেখানে (ঘটনাস্থলে) গিয়ে দেখি সেখানে হাজারখানেক মানুষের ভিড়। এমন অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে আমার কোনো জানা ছিল না। তবে, তদন্ত করে প্রকৃত দোষী আসলে কে? যিনিই দোষী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রানীশংকৈল থানার অফিসার ইন্চার্জ গুলফামুল ইসলাম মুঠোফোনে ‘কালের কন্ঠ’কে জানান, ‘এসময় পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।