27 C
Dhaka

রিজার্ভ নামলো ৩২ বিলিয়নের ঘরে

প্রকাশিত:

আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির নানা উদ্যোগের পরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। আমদানি দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে।

গত বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবার আকুর নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের ১১২ কোটি (১.১২ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করা হয়। রবিবার তা সমন্বয়ের পর ৩২ দশমিক ৫৭ বা ৩ হাজার ২৫৭ কোটি মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

রিজার্ভের উপর চাপ কমাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন এলসি (ঋণপত্র) কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমেনি। নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আর একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর মানদণ্ড অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। আইএমএফ’র মানদণ্ড অনুসারে, দেশের মজুতকৃত রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং রিজার্ভ থেকে দেশীয় প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যয় বাদ যাবে। তবে সরকার এখন আইএমএফ এবং নিজস্ব অর্থাৎ দুই ধরনের হিসাবই রাখছে।

অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন আমদানিতে বাণিজ্যিক ঋণপত্র (এলসি) কমলেও আগের দায় পরিশোধে কিছুটা চাপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমেনি। গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। আর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল রিজার্ভ। করোনার প্রভাব আর রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে রিজার্ভ কমতে থাকে। সবশেষ রিজার্ভ ৩৩ থেকে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামার মধ্যে ছিল।

অন্যদিকে রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আইএমএফ’র তহবিল থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার আলোচনাও চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যেকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কা।

সম্পর্কিত সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

spot_img