27 C
Dhaka

বিয়ের লাল শাড়িতে অগ্নিরাঙা রুনা (ভিডিও)

প্রকাশিত:

তাকে দেখে কে বলবে তার শরীরের ওজন ছিল ১০৫ কেজি! মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে রীতিমতো সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ছোটপর্দার তুমুল জনপ্রিয় এই তারকা অভিনেত্রী। এখন তার ওজন ৬৬ কেজি। তার মেদবিহীন আবেদনময়ী আকর্ষণীয় শারীরিক অবয়ব আর মোহনীয় রূপ দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, তার ১২ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে যার নাম রাজেশ্বরী।

২০০৯ সালে এষণ ওয়াহিদকে বিয়ের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিল রুনার ওজন। বিয়ের এক বছরের মাথায় কন্যা রাজেশ্বরীকে পৃথিবীর আলো দেখান রুনা।বিয়ে ও সন্তানের মা হওয়ার পর থেকে ৫৬ কেজি ওজনের রুনার ওজন বাড়তে থাকে। একটা সময়ে ৯৫ কেজিতে ওঠে সেই ওজন।

এ অবস্থায় ২০১১ সাল থেকে শরীরের ওজন কমানোর মিশনে নামেন রুনা। কিন্তু কিছুতেই ওজন বাড়ার পাগলা ঘোড়ার লাগামটাকে টেনে ধরতে পারছিলেন না। ওজন বাড়তে বাড়তে গিয়ে ঠেকে ১০৫ কেজিতে। জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়ে, সাঁতার কেটে, যোগ ব্যায়াম আর অ্যারোবিকস করে, কঠোরভাবে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করেও ফলাফল শূন্য। মুটিয়ে যাওয়া শরীর নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন রুনা। সব ছেড়ে দিয়ে বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন স্বাস্থ্য সচেতন এই নায়িকা।

বছর খানেক আগেও মুটিয়ে যাওয়া রুনাকে দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু এক বছরে যেন কোনো এক যাদুমন্ত্র বলে অসাধ্যকে সাধন করেছেন রূপবতী রুনা। এক/দুই কেজি নয়, এক ধাক্কায় ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন ১০৫ কেজি ওজনের সেই রুনা। এখন তার ওজন মাত্র ৬৬ কেজি।

বিয়ের প্রায় ১৪ বছর হয়ে গেছে রুনার। সেই স্মৃতি মনে করে সম্প্রতি বিয়ের লাল শাড়ি পরে আগুন ঝরানো রূপের ঝলক দেখানো ছবি রুনা পোস্ট করেছেন তার ফেসবুকে।

সোমবার, ২৮ নভেম্বর পোস্ট করা অগ্নিরাঙা বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে রুনা লিখেছেন, এষণ ওয়াহিদের সাথে পাগলা ঝড়ো হাওয়ার মতো তথাকথিত যে বিয়েটি হয়েছিলো প্রায় বছর চৌদ্দ আগে, শাড়িখানা সেই বিয়ের।

রূপান্তরিত রুনার রূপান্তরের গল্প আসলে এক বছরের নয়। প্রায় এক দশকের নিরন্তর সাধনার বলেই ছিপছিপে মেদহীন শরীর ফিরে পেয়েছেন রুনা। এমনটা জানিয়েছেন রুনা নিজেই।

ওজন কমানোর সেই মিশনের কথা জানিয়েছেন রুনা। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সকালের নাশতায় দুটি ডিম খেতেন। পরে খেতেন কোনো ফল। পরের পর্বে থাকতো ব্ল্যাক কফি। কফি খেয়ে চাঙ্গা হয়ে শুরু হতো হাঁটাহাঁটি। নিয়মিত এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করে ঘাম ঝরাতেন তিনি।

দুপুরে খেতেন মাত্র এক কাপ ভাত। সঙ্গে থাকতো এক বাটি সবজি, এক টুকরো মাছ কিংবা মাংস। বিকেলের নাশতায় থাকতো বাদাম ও ব্ল্যাক কফি। এরপর টানা এক ঘন্টা যোগ ব্যায়াম। রাতের আহারে থাকতো এক বাটি সবজি, এক টুকরো মাছ কিংবা মুরগি, এক গ্লাস দুধ।

২০১৯ সালে রুনা অনুধাবন করেন, তিনি যে মানুষগুলোকে জীবনের সেরা বন্ধু ভাবতেন আসলে তারাই বছরের পর বছর ধরে তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন। তাদের কারণেই বিষণ্নতায় ভুগতেন তিনি। ওজন কমানোর মিশনে মনোযোগ ধরে রাখতে পারতেন না। এভাবে শরীরের ওজন বাড়তে কমতে থাকে প্রতিনিয়ত। কখনো ১০০ কেজি, আবার কখনো ১১০ কেজি পর্যন্ত উঠেছে ওজন।

এমন অবস্থায় রুনা এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন। বন্ধুরূপী বিষাক্ত মানুষগুলোর সঙ্গ ত্যাগ করলেন। এই এক সিদ্ধান্তেই বদলে গেলো রুনার জীবন। পৌঁছে গেলেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। বন্ধুরূপী বিষাক্ত মানুষগুলোর সঙ্গ ত্যাগের এক বছরের মাথায় যেন মিরাকল ঘটে গেলো। ১০৫ কেজি থেকে এক ধাক্কায় ৩৯ কেজি ওজন কমিয়ে নেমে এলেন ৬৬ কেজিতে।

সম্পর্কিত সংবাদ

spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

spot_img