সূরা ইউনুসে বলা হয়েছে, হে মানবজাতি, তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশ যা আরোগ্য অন্তরের ব্যাধির জন্য এবং পথনির্দেশ ও অনুগ্রহ মুমিনের জন্য। (সূরা ইউনুস : ৫৭)
পবিত্র কোরআন শরীফকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক একটি বিষয়। ইসলাম ধর্মের পবিত্র এই গ্রন্থের যেন কোনোভাবেই অপমান না হয় সেদিকে সদা সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়।
মহান আল্লাহর বাণী স্থান পেয়েছে যে পবিত্র গ্রন্থে সেটিকে কোনোভাবেই অপমান করা যাবে না। কোরআন শরীফ নাপাক জায়গায় রাখা যাবে না, মাটিতে ফেলে রাখা যাবে না, পা লাগানো যাবে না, এর ওপর থুথু ফেলা যাবে না। এসব করা মানে মহান আল্লাহর বাণীকে অপমান করা।
এমন অনেক মানুষ আছেন যারা স্ত্রী নিয়ে একটি ঘরেই বসবাস করেন। তাদের একটাই ঘর। সেই ঘরে হয়তো কোরআন শরীফও থাকে। সেক্ষেত্রে ওই দম্পতি কি সহবাস করতে পারবে?
বেশিরভাগ মুসলমানের ঘরেই কোরআন শরীফ থাকে। আলেমরা কখনোই বলেননি, যে ঘরে কোরআন শরীফ আছে সেই ঘরে স্ত্রী সহবাস করা যাবে না। যদি এমন কোনো বিধান থাকতো তাহলে আলেমরা অবশ্যই তাদের গ্রন্থসমূহে বিষয়টি উল্লেখ করতেন। যেহেতু তারা এমন কিছু উল্লেখ করেননি সুতরাং এটি মূল (জায়েজ) অবস্থাকে আঁকড়ে ধরা ও মূলের উপর বহাল থাকার প্রমাণ বহন করে।
একবার এক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রা.) কে জিজ্ঞেস করেন, আমি যে বিছানায় স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করি সেই বিছানার ওপর কোরআন রাখতে পারবো? জবাবে ইবনে আব্বাস (রা.) হ্যাঁ বলেছিলেন।
শয়নকক্ষে কোরআন রাখা ও ঘুমানোর আগে বিছানায় কোরআন পড়া কি জায়েজ? এমন প্রশ্নের জবাবে আলেমরা বলেছেন, কোরআন শয়নকক্ষে রাখা ও বিছানার ওপর পড়া জায়েজ। তবে কোনো ব্যক্তি যদি জুনুবী হয় অর্থাৎ সহবাসের পর গোসল ফরজ হওয়ার অবস্থায় থাকে কিংবা ওজু না থাকে তাহলে তিনি কোরআন শরীফ পড়তে পারবেন না।
সাধারণত শয়নকক্ষেই বেশিরভাগ স্বামী-স্ত্রী সহবাস করে থাকেন। যদি শয়নকক্ষে কোরআন রাখা হারাম হতো তাহলে আলেমরা অবশ্যই বিষয়টি উল্লেখ করতেন।