দেশে সামাজিক ব্যাধি পরকীয়ার টানে আবারও অঘটনের খবর পাওয়া গেলো। এবার মাত্র ১৬ বছর বয়সী ভাগ্নের হাত ধরে (স্বামীর চাচাতো বোনের ছেলের সাথে) পালিয়ে গেছেন তারই ২৫ বছর বয়সী মামী। ছয় বছর বয়সী মেয়ে ও স্বামীকে ফেলে ভাগ্নের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন মামী।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নে। মামী সেলিনা আকতার (২৫) উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের একাব্বর আলীর মেয়ে। তার স্বামীর নাম আব্দুল্লহ। ভাগ্নে সফিউল ইসলাম সফি (১৬) একজন স্কুলছাত্র ও আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দুলাল হোসেনের ছেলে।
এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পলাতক স্ত্রী সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছয় বছরের শিশু সন্তান রেখে গত ২৩ জুন সকাল ১০টার দিকে ভাগ্নের হাত ধরে উধাও হয়ে যান আবদুল্লাহর স্ত্রী সেলিনা। মেয়ের স্কুলড্রেস কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে ভাগ্নের সাথে পালিয়ে যান তিনি। এরপর আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় তাদের খোঁজ করেও কোনো সন্ধান পাননি।
গত দুই বছর ধরে আবদুল্লার চাচাতো বোন বুলবুলি বেগমের ছেলে শফিউল ইসলাম সফির সঙ্গে সেলিনা আকতারের পরকীয়া প্রেম চলছিল। সেই প্রেমের টানে সুযোগ বুঝে তারা বাড়িতে রাখা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। মামী ও ভাগ্নের এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় আক্ষেপ করে সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ছয় বছরের একটি মেয়েকে রেখে কীভাবে ভাগ্নের হাত ধরে পালালো সেলিনা! যাওয়ার সময় সে আমার টাকা-পয়সা সব নিয়ে গেছে। এখন আমি অসহায়। আমি কীভাবে মানুষকে মুখ দেখাবো! কথাগুলো বলতে বলতে এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আবদুল্লাহ।
হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সেলিনা আকতার ও আবদুল্লাহর বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। বছর দুয়েক আগে সেলিনা ও ভাগ্নে শফির মন দেওয়া নেয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে অনেকবার স্থানীয়ভাবে শালিস হয়েছে। মাত্র একমাস আগেও এ নিয়ে এলাকায় শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেলিনার স্বামী আবদুল্লাহ। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
