জ্বালানি তেলের দাম ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে এক সপ্তাহের ব্যবধান দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ফুলবাড়ী পৌর বাজার সরেজমিন ঘুরে দেকা যায়, শহরের চালের
ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ২৭ টাকা, কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সাদা এলাচ কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকায়, জিরা ৭০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৭০ টাকায়।
অন্যদিকে বেড়েছে সয়াবিন তেল, মুরগি ও ডিমের দাম। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, ব্রয়লায় মুরগি কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, ডিম খাঁচি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। এছাড়াও বেড়েছে চিনি, আদা, রসুন, লবঙ্গ, মাছ, খাসি, পাঠা ও গরুর মাংসের দাম।
বাজারে বাজার করতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে প্রতিদিইন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। দাম শুণে কোনটা কিনবো বুঝো উঠতে পারছেন না। যেভাবে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে গরিব মানুষের বাঁচা দায় হয়ে যাবে। একেক দোকানে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যে যার মতো করে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। বাজার যদি নিয়মিত মনিটরিং করা হতো তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাবধান হয়ে যেত।
পৌর বাজারের মসলা বিক্রেতা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে সব ধরনের মসলার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মসলার দাম বৃদ্ধির কারণে বিক্রি কমে গেছে। দোকানে বেচাবিক্রির জন্য নতুন কওে মসলা কিনতে গেলে পাইকারি ব্যবসায়িদের কাছে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ অবস্থা বিরাজ থাকলে ছোট দোকানদারেরা অর্থের অভাবে মসলার ব্যবসা করতে পারবে না।
পৌর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রনি প্রসাদ বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম ছিল ২৪০ টাকা এখন ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। বিভিন্ন ধরনের মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে খামার মালিকরা বেশি দামে মুরগি বিক্রি করছেন। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বেশি দামে বিক্রি করছি।
বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা অজয় দত্ত বলেন, সরবরাহ কমের কারণে আমদানিকারকরা মোকামে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। যার জন্য আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে খুচরা ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজার দাম একটু বেড়েছে।